ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। রোববার হুগলির রানিঘাটে এ ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত তার লাশ পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, চাকরি না পাওয়ায় অবসাদে ভুগছিলেন ঈশ্বর। এছাড়া প্রতিবেশীরাও তাকে কটূক্তি করতেন। আর সে কারণেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি। হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, রোববার সকালে বেড়ানোর কথা বলে ভাগ্নের সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হন ঈশ্বর। চন্দননগর রানিঘাটে ভাগ্নেকে নিয়ে জগদ্দল যাওয়ার লঞ্চে উঠেন। এরপর মাঝ গঙ্গায় ঝাঁপ দেন তিনি।
পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ঈশ্বরের লাশ পাওয়া যায়নি। ঈশ্বর রাউত ভদ্রেশ্বর স্টেশন বাজার এলাকার খুরিগাছির বাসিন্দা। তার বাবা রেলে চাকরি করতেন। তার চাকরি না হওয়ায় বাবাই সংসার চালাতেন। জানা গেছে, চাকরি না পাওয়ায় অবসাদে ভুগতে শুরু করেন ঈশ্বর।
পাড়ার লোকেদের কটূক্তিও তাকে শুনতে হয়েছে। প্রতিবেশীরা এমনভাবে তাকে বিরক্ত করত যে পুলিশ ডাকতে বাধ্য হয়েছিল পরিবারের লোকজন। পুলিশ পাড়ার লোকেদের বুঝিয়ে চলে গেলেও তাতে কোনো লাভ হয়নি। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, প্রতিবেশীদের জন্যই তাদের ছেলেকে হারাতে হলো। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।